রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় :
১৮-০৯-২০২৩ ০৬:৪৯:২৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১৮-০৯-২০২৩ ০৬:৫১:৪৩ অপরাহ্ন
ছবি : সংগৃহীত
রাবি ছাত্রলীগের ২৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাবি প্রতিনিধি: প্রায় ৭ বছর পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে এই সম্মেলনটি সকাল ১১টায় উদ্ভোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান, জয়পুরহাট-২ আসনের এমপি ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন প্রমূখ। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা করা হয়।
এরপর শোক প্রস্তাব করেন রাবি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার। এসময় বিগত কমিটিকালে মৃত্যুবরণ করা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। তারপর সাংগাঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন রাবি ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ফয়সাল আহমেদ রুনু। এ সময় রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম. খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে আবারো দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন আসলেই আওয়ামী লীগের বাইরের দল যারা নিজেদেরকে জাতীয়তাবাদী হিসেবে পরিচয় দেয় কিন্তু তারা পবিত্র ধর্ম ইসলামকে ব্যবহার করে মৌলবাদী ও চরমপন্থীর রাজনীতি করে, সেই জামায়াত-বিএনপির মাথা নষ্ট হয়ে যায়।
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল ভোটে জয়লাভের পর কেন জানি জামায়াত-বিএনপি আর নির্বাচন করতে চায় না। তাতে আমার কোনো সমস্যা নাই। কিন্তু তারা যখন বলে স্বাধীন বাংলাদেশে নিবাচন হতে দেওয়া হবে না তখন সেটা মেনে নেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে একমাত্র কমান্ডার ছিলেন যে কখনো যুদ্ধের ময়দানে যায়নি। কোনো পাকবাহিনীকে মারেনি। কেননা তারা ছিল জিয়াউর রহমানের বন্ধু, শত্রু নয়। বলা যায় জিয়াউর রহমান ঘটনাক্রমে মুক্তিযোদ্ধা।
পাকিস্তানিরা তাকে বিশ্বত অনুচর মনে করে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্ত্র খালাস করতে পাঠায়। কিন্তু পথিমধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে দেখা হলে তারা তাকে কালুরঘাটে পাঠান। বঙ্গবন্ধুর পাঠানো চিঠি পাঠ করে শুনানোর জন্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে অনেকে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে। এমপি আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, আজকের আলোকিত বাংলাদেশকে অন্ধকারের অতল গহ্বরে তলিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আজ থেকে ২০ বছর আগেও বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ তিনবেলা খেতে পারতো না। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে সবসময় মন্দা লেগে থাকত। আজকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে।পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ও বংধরেরা বাংলাদেশকে আবার পিছিয়ে নেবার ষড়যন্ত্র করছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে আমরা বাংলাদেশকে পিছিয়ে নিতে দেব না।
মারুফ হোসেন মিশন ,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin
কমেন্ট বক্স